শাহেদ মিজান, সিবিএন:
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেছেন, হোটেলে ভরে গেছে কক্সবাজার শহর। এই শহর এখন ইট-কংক্রিটের শহরে পরিণত হয়েছে। কক্সবাজারের সব কিছু এখন এই শহরকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এই কারণে যানজটে চলাফেরাই করা যাচ্ছে না। তাই আমরা আর কোনো বড় হোটেল এই শহরে চাই না। আর কোনো বড় হোটেল শহরে হতে দেয়া যাবে না। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শৈবাল হোটেল ইস্যুতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি করেন।

এসময় মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন, ‘কক্সবাজার শহর ছোট্ট একটি শহর। অথচ এই ছোট্ট শহরে সাড়ে চার’শ হোটেল করা হয়েছে। এসব হোটেলের কারণে পুরো শহর এক কংক্রিটের শহরে পরিণত হয়েছে। এতে আমাদের স্বাভাবিক চলাফেরা দায় হয়ে পড়েছে। যানজটে আটকা পড়েছে শহরবাসী। কোথাও একটু স্বস্তির নি:শ্বাস নেই। এর মাঝে একটু স্বস্তির জায়গা হলো শৈবাল হোটেল ও তার উন্মুক্ত মুনোমুগ্ধকর পরিবেশ। এমন পরিস্থিতিতে শৈবাল ধ্বংস করে স্বস্তির এই পরিবেশ নষ্ট করে ওই জমি ওরিয়ন গ্রুপকে দেয়া যায় না। তারা ব্যবসা বা উন্নয়ন- যাই করুক; তা শহরের বাইরে গিয়ে করুক। এতে তাদের ব্যবসায় আরো লাভ হবে। সেই সাথে শহরটাও আরো সম্প্রসারিত হবে।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসমারিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস.এম গোলাম ফারুক, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান কবির, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. নাঈম হাসান, জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, ওরিয়ন গ্রুপের পরিচালক লে. জেনারেল শাব্বির আহমদ, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজাহান। এছাড়াও টুয়াকের নেতৃবৃন্দসহ  কক্সাজারের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত কক্সবাজারের শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বিবাদমান শৈবাল ইস্যু নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন। সবাই তীব্র বিরোধিতা করে কক্সবাজারের এই অমূল্য সম্পদকে বিতর্কিত ওরিয়ন গ্রুপের হাতে তুলে না দিতে আহ্বান জানান। আলোচনার সভার পরে মন্ত্রীসহ প্রতিনিধিদল শৈবাল হোটেলসহ পুরো এলাকা পরিদর্শন করেন।